এমপিও আবেদনের প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়াদের পরবর্তী আবেদনের সময় ২২ থেকে ৩১ মে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, স্কুল ও কলেজ, কলেজ ও মাদরাসা) মিলিয়ে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় আনা হয়। বাদপড়াদের এমপিও আবেদন কবে, কখন তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন অনেকেই।
সরকার ঈদের আগে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর বেতন-ভাতাদি প্রদানের লক্ষ্যে অল্পসময়ের মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু সফটওয়্যার জটিলতার কারণে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়।
এমপিওভুক্ত হবেন কিনা এবং পরবর্তীতে কখন এমপিওর আবেদন করবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন নতুন এমপিওভুক্ত অথবা নবনিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিওর আবেদন থেকে বাদপড়া শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য একটি সুখবর পাওয়া গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশ্বস্ত একটি সূত্রে।
যারা করবে এমপিও আবেদন প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছে তারা আগামী ২২ মে ২০২০ থেকে ৩০ মে ২০২০ তারিখের মধ্যে নতুন করে এমপিওর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আগামী ২২ মে ২০২০ EMIS এর এমপিও আবেদন পোর্টাল চালু করে দেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমপিও আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
এই টিউনটি সম্পূর্ণ পড়লে এমপিও সংক্রান্ত আরও অনেক তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেজ ও ই-মেইলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর পরবর্তী আবেদন করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়া সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য আজকে আমাদের এই টিউন। সম্পূর্ণ পড়বেন এবং এমপিও সংক্রান্ত পরবর্তী তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের পেইজটি ফলো এবং লাইক করে রাখবেন।
প্রশ্ন-০১: এমপিওর আবেদন থেকে বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারী গণ নতুন করে আবেদন করতে পারবেন কিনা?
এই প্রশ্নের জবাবে সোজা উত্তর দেওয়া যায় অবশ্যই পারবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তকরণ প্রক্রিয়াটি বছরব্যাপী চলমান একটি প্রক্রিয়া।
কোন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের সময় কোন কারনে আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী এমপিওর সময় সে যথাযথ নিয়মে আবেদন করতে পারে। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোন রকমের বিধিনিষেধ নেই।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের যে সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে সে প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে একটি বিষয় উল্লেখ করা হয় তা হল-
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগন মে ২০২০ মাসের এমপিও আবেদনের ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে যথানিয়মে এমপিও আবেদন করতে পারবেন।
তাই এমপিও আবেদন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়া শিক্ষক কর্মচারীগণের কোন প্রকার চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন-০২: বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পরবর্তী আবেদন করবে কখন?
প্রতিবছর সাধারণত তিন মাস পর পর এমপিও প্রকাশ করা হয়। জানুয়ারি, মার্চ, মে, জুলাই, সেপ্টেম্বর, নভেম্বর।
যেহেতু মে মাসের এমপিও আবেদন থেকে বাদ পড়েছেন সেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে জুলাই মাসের এমপিও জন্য আবেদন করা যাবে।
জুন মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আবেদনকারীদের নিকট থেকে এমপিও আবেদন গ্রহণ করা হবে।
আপনারা যারা এমপি আবেদন-প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছেন তারা কাগজপত্র পুনরায় যাচাই বাছাই করে আবেদনের জন্য প্রস্তুত করে রাখবেন।
নির্ভুলভাবে এমপিও আবেদন পূরণ করার জন্য এই নির্দেশনাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
নির্ভূলভাবে আবেদন করার জন্য এই ভিডিওটি দেখুন
এমপিও সংক্রান্ত পরবর্তী তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের পেইজটি লাইক দিয়ে রাখুন।
সকলের পছন্দের অন্যান্য খবরগুলো-
- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন
- আনন্দধারা: সবাই মিলে বনভোজন আয়োজন
- সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন
- কলেজ ভর্তি নিশ্চায়ন বাতিল আবেদন ফরম ও নিয়মাবলি
- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিদ্যালয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজন